সেরা পোস্ট গুলো

10/recent/ticker-posts

পূর্বী নাগরী তথা বাংলা-অসমীয়া বর্ণমালা, সিলেটে এর উদ্ভব হয়েছিল!

 
পূর্বী নাগরী (ইউনিকোডে বাংলা লিপি নামে পরিচিত) হলো ব্রাহ্মী লিপি থেকে উদ্ভূত একটি লিখন পদ্ধতি। যদিও এ লিপি বর্তমানে বাংলা লিপি নামে বেশি পরিচিত, কিন্তু এর মূল নাম পূর্বী নাগরী। এই লিপির নাম পূর্বী নাগরী হওয়ার উল্লেখযোগ্য কারণ হলো এর উদ্ভব ঘটেছে প্রাচীন ভারতের একেবারে পূর্বপ্রান্তে অধুনা বাংলাদেশ এবং ভারতে বিভক্ত প্রাচীর বৃহত্তর শ্রীহট্ট অঞ্চলে। সুতরাং ভারতের পূর্বাঞ্চলে জন্ম লাভ করায় এ লিপির নাম পূর্বী নাগরী। 

বেশ কয়েক বছর আগে বাঙালি এবং অসমীয়া জাতির মধ্যে একটি বিতর্ক ছিল উক্ত লিপির উদ্ভাবনের কৃতিত্বের ব্যাপারে। অসমীয়ারা দাবি করেন এটা তাদের আবিষ্কার এবং বাঙালিরা দাবি করেন এটা বাঙালিদেরই আবিষ্কার। অবশেষে উক্ত লিপি ব্যবহার হওয়া সবচেয়ে প্রাচীন নিদর্শন চর্যাপদের লেখক প্রাচীন বৌদ্ধ ভিক্ষুকদের জন্ম ও বাসস্থান দ্বারা প্রাচীন বৃহত্তর শ্রীহট্ট অঞ্চলে (অধুনা বাংলাদেশের সিলেট বিভাগ এবং ভারতের বরাক উপত্যকা) অনুমানিক ১০০০ বছর আগে এই লিপির উদ্ভব হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এছাড়াও চর্যাপদের ভাষার সাথে বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক ভাষার যথেষ্ট মিল পাওয়া যায়, যা পৃথিবীর অন্য কোনো ভাষার সাথে খুব একটা মিলে না। 

পূর্বী নাগরী তথা বাংলা লিপি বর্তমানে বাংলা, অসমীয়া, সিলোটি, মনিপুরী, রংপুরী রাজবংশী, চাঁটগাইয়্যা এবং নোয়াখাইল্যা ভাষা লিখতে ও পড়তে ব্যবহার করা হয়। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা লিপিগুলোর মধ্যে একটি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ